কেশোরাম রেয়ন কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ

22nd June 2021 4:18 pm হুগলী
কেশোরাম রেয়ন কারখানায় সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : হুগলির কুন্তিঘাটের কেশোরাম রেয়ন কারখানায় সাসপেনশান অফ ওয়ার্কের নোটিশ,কর্মহীন চার হাজার শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতির কারনে আর্থিক সঙ্কট,বিক্রি না হওয়ায় উৎপাদিত মাল মজুত হয়ে যাওয়া, কয়লা এবং কাঁচামালের যোগান না থাকার কারন দেখানো হয়েছে সাসপেনশানের নোটিশে। আজ সকালের সিফটে কাজ করতে আসা শ্রমিকরা কারখানা গেটে নোটিশ দেখতে পান। সূতো তৈরীর এই কারখানায় একটি কেমিক্যাল ইউনিটও রয়েছে। সেটিও বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছে।গন্ডোগোলের আশঙ্কায় মগড়া থানার পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে কারখানা গেটে। করোনা আবহে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছেন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। জেলার জুটমিল গুলোর অবস্থা ভালো না। ত্রিশ শতাংশ শ্রমিক নিয়ে মিল চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।কেশোরাম রেয়ন কারখানায় গত এক সপ্তাহ ধরে উৎপাদন বন্ধ ছিলো। কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবী,উৎপাদিত পন্য গুদামে মজুত হয়ে পড়ে রয়েছে।  করোনা আবহে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না থাকায়। কয়লা এবং অন্যান্য কাঁচামালেরও অভাব রয়েছে। তাই কোম্পানী আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। যতদিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয় ততদিন কারখানায় সাসপেনশান অফ ওয়ার্ক থাকবে বলে নোটিশে জানানো হয়েছে। আজ সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিতে এসে ফিরে যান।
কেশোরাম রেয়ন কারখানায় স্থায়ী অস্থায়ী মিলিয়ে প্রায় চার হাজার শ্রমিক কাজ করে। কেশোরাম রেয়নের সিআইটিইউ সাধারন সম্পাদক কুমুদ মালো বলেন,কারখানায় শ্রমিকদের বেতন ঠিকমত হচ্ছে না,গত ১১ জুন আমরা কারখানার পাঁচটি ইউনিয়ন এ নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েছে। তার পর থেকে দেখালাম উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলো। গতকাল শ্রমদপ্তর,শ্রমমন্ত্রী, হুগলি জেলা প্রশাসনের আধিকারীকদের চিঠি দিয়ে পরিস্থিতি জানানো হয়। আর আজ সকালে সাসপেনশানের নোটিশ দেওয়া হল।আমরা চাইছি সরকারী হস্তক্ষেপে ত্রিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে কারখানা খুলুক।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।